Electronic Capacitor |
একটি ক্যাপাসিটরের ক্যারেক্টারিস্টিক জানার জন্য যা যা দরকার তার সকল তথ্যই এর মোড়ক বা গায়ে লেখা থাকে। তবে ক্যাপাসিটরের আকার ছোট হওয়ায় প্রয়োজনীয় তথ্য বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে এর গায়ে লেখা থাকে। যেসকল তথ্য ক্যাপাসিটরের গায়ে লেখা থাকে তা নিচের টেবিলে দেয়া হলো।
কোড | ব্যাখ্যা |
---|---|
ক্যাপাসিট্যান্স | এই কোডের মাধ্যমে ক্যাপাসিট্যান্স লেখা থাকে। |
রেটেড ভোল্টেজ | এটি ক্যাপাসিটরের সর্বোচ্চ কার্যকরী ভোল্টেজ সীমা। সর্বোচ্চ এই ভোল্টেজে ক্যাপাসিটর নষ্ট না হয়ে সার্ভিস দিতে পারে। |
টলারেন্স | ক্যাপাসিটরের টলারেন্স এই কোডের মাধ্যমে দেয়া থাকে। |
পোলারিটি | পোলার ক্যাপাসিটরের ক্ষেত্রে এই কোডের মাধ্যমে পোলারিটি উল্লেখ থাকে। সাধারণত $-Ve$ চিহ্ন দিয়ে নেগেটিভে লেগ চিহ্নিত করা হয়। আবার ক্যাপাসিটরের যে লেগটি বড় সেটি পজেটিভ লেগ নির্দেশ করে। |
ক্যাপাসিটরের ধরনের উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা কোড দিয়ে উপরে উল্লেখিত মানগুলো প্রকাশ করা হয়। নিচে ক্যাপাসিটরের বিভিন্ন ধরনের কোড সম্পর্কে বিষদ ব্যাখ্যা করা হলো।
১। পোলার ক্যাপাসিটর আকারে বড় হওয়ায় এর গায়ে ক্যাপাসিট্যান্স, ভোল্টেজ রেটিং, টলারেন্স ও পোলার প্রান্ত সঠিকভাবে নির্দেশ করা থাকে।
২। সিরামিক ক্যাপাসিটর আকারে ছোট হওয়ায় সাধারণত সংখ্যা কোডের সাহায্যে ক্যাপ্যাসিট্যান্স ও লেটার কোডের মাধ্যমে টলারেন্স উল্লেখ থাকে। এখানে ক্যাপ্যাসিট্যান্স পিকো ফেরাড মানে লেখা থাকে। এই কোডের মাঝেও কিছু ভিন্নতা আছে।
- ক্যাপাসিটরের গায়ে এক বা দুই ডিজিটের কোড থাকলে সেটিই হবে ক্যাপাসিটেন্স আর তা হবে পিকোফেরাড মনে
- ক্যাপাসিটরের গায়ে তিন ডিজিটের কোড লেখা থাকলে
- প্রথমে বাম দিক থেকে ১ম দুই ডিজিট
- এরপর তিন নং ডিজিটের সমান সংখ্যক শূন্য বসিয়ে ক্যাপাসিটেন্স মান প্রকাশ করবে
- এটিও হবে পিকোফেরাড মনে।
- উদাহরণ: একটি সিরামিক ডিস্ক টাইপ ক্যাপাসিটর যার গায়ে 473J কোড লেখা আছে। এখানে 4 = ১ম ডিজিট, 7 = ২য় ডিজিট, 3 = ৩য় ডিজিট যা তিনটি শূন্য প্রকাশ করে এবং J হল টলারেন্স। ক্যাপাসিট্যান্স, C = 47000 pF, 47nF বা 0.047 uF এবং J +/-5% টলারেন্স নির্দেশ করে।
ক্যাপাসিটরের গায়ে থাকা অক্ষর ক্যাপাসিট্যান্সের টলারেন্স নির্দেশ করে।
টলারেন্স কোড টেবিল:
অক্ষর | টলারেন্স |
---|---|
J | ±5% |
K | ±10% |
M | ±20% |
উদাহরণ: 104K
ক্যাপাসিট্যান্স: টলারেন্স: ±10%
রঙ কোড (পুরনো ক্যাপাসিটর)
পুরনো ক্যাপাসিটরের রঙ কোড একটি নির্দিষ্ট মান (capacitance value) এবং সহনশীলতা (tolerance) নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত রঙিন ব্যান্ড বা ডটের আকারে ক্যাপাসিটরে দেওয়া থাকে। রঙ কোড পড়ার পদ্ধতি রেজিস্টরের রঙ কোডের মতো, তবে কিছু পার্থক্য থাকে।
নিচে সাধারণ রঙ কোডের তালিকা দেওয়া হলো:
রঙ কোড মান:
রঙ | সংখ্যা (ডিজিট) |
গুণক (Multiplier) |
সহনশীলতা (Tolerance) |
সর্বোচ্চ ভোল্টেজ |
---|---|---|---|---|
কালো | 0 | ×1 | — | — |
বাদামী | 1 | ×10 | ±1% | 100 |
লাল | 2 | ×100 | ±2% | 200 |
কমলা | 3 | ×1000 | — | 300 |
হলুদ | 4 | ×10,000 | — | 400 |
সবুজ | 5 | ×100,000 | ±0.5% | 500 |
নীল | 6 | ×1,000,000 | ±0.25% | 600 |
বেগুনি | 7 | ×10,000,000 | ±0.1% | 700 |
ধূসর | 8 | ×100,000,000 | ±0.05% | 800 |
সাদা | 9 | ×1,000,000,000 | — | 900 |
সোনালী | — | ×0.1 | ±5% | 1000 |
রুপালি | — | ×0.01 | ±10% | 2000 |
কালার কোড হতে ক্যাপাসিট্যান্স বের করার নিয়ম:
- প্রথম দুইটি রঙের ব্যান্ড ক্যাপাসিটরের মানের (সংখ্যার) প্রতিনিধিত্ব করে।
- তৃতীয় ব্যান্ডটি গুণক (Multiplier) হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- চতুর্থ ব্যান্ডটি সহনশীলতা (Tolerance) নির্দেশ করে (যদি থাকে)।
উদাহরণ: যদি রঙ কোড হয় লাল-লাল-কমলা-সোনালী, তাহলে:
- প্রথম রঙ: লাল = 2
- দ্বিতীয় রঙ: লাল = 2
- তৃতীয় রঙ: কমলা = ×1000
- চতুর্থ রঙ: সোনালী = ±5%
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন