১. ফটো ইমিসিভ সেল (প্যাসিভ ট্রান্সডিউসার)
২. ফটোকন্ডাক্টিভ সেল (প্যাসিভ ট্রান্সডিউসার)
৩. ফটোভোল্টেইক সেল (অ্যাক্টিভ ট্রান্সডিউসার)
১. ফটো ইমিসিভ সেল:
আলোক সংবেদনশীল পদার্থের উপর আলো পতিত হলে ক্যাথড হতে ইলেকট্রন নির্গত হয়- এই নীতির উপর ভিত্তি করে ফটো ইমিসিভ সেল প্রতিষ্ঠিত। ইলেকট্রন নির্গমনের হার আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে। একটি জনপ্রিয় ফটো ইমিসিভ পদার্থের নাম হল সিজিয়াম-অ্যান্টিমনি। ফটো ইমিসিভ সেলকে আবার নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়—ক. ভ্যাকুয়াম টাইপ
খ. গ্যাস ফিল্ড টাইপ
গ. ফটো মাল্টিপ্লায়ার
২. ফটোকন্ডাক্টিভ সেল:
এই ধরনের ট্রান্সডিউসার ফটোকন্ডাক্টিভ ইফেক্ট এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যখন কোন ফটোকন্ডাক্টিভ সেমিকন্ডাক্টর পদার্থের ওপর পর্যাপ্ত শক্তি সহ আলোকরশ্মি পতিত হয় তখন এর কিছু সমযোজী বন্ধন ভেঙে আয়ন এবং ইলেকট্রন-হোল যুগলের সৃষ্টি হয়। এর ফলে সেমিকন্ডাক্টরের রেজিস্টেন্স হ্রাস পায় এবং এর মধ্য দিয়ে সহজে কারেন্ট চলাচল করতে পারে। ক্যাডমিয়াম সালফাইড এবং ক্যাডমিয়াম সেলেনাইড জনপ্রিয় ফটোকন্ডাক্টিভ পদার্থের উদাহরণ। ফটোকন্ডাকটিভ সেলকে আবার নিম্নোক্ত শ্রেণীতে ভাগ করা যায়—ক. ফটো রেজিস্টর বা লাইট ডেপেন্ডেন্ট রেজিস্টর বা এলডিআর
খ. ফটো ডায়োড
গ. ফটো ট্রানজিস্টর
৩. ফটোভোল্টেইক সেল:
এ ধরনের ট্রান্সডিউসার আলোক সংবেদনশীল সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি পি-এন জাংশন ডিভাইস। এর স্বচ্ছ পি-এন জাংশন অঞ্চলে আলোক রশ্মি পতিত হলে চার্জ ক্যারিয়ার বিচ্যুত হয় এবং জাংশনের আশেপাশের অঞ্চলে জমা হয়। ফলে জাংশনের আড়াআড়িতে একটি ভোল্টেজের উৎপত্তি ঘটে এবং পি এন জাংশন ডিভাইসটি একটি ভোল্টেজ উৎস হিসেবে কাজ করে। ফটোভোলটেইক সেল এ উৎপন্ন ভোল্টেজ আপতিত আলোকরশ্মির তীব্রতা এবং ফ্রিকোয়েন্সির সমানুপাতিক। ফটোভোল্টেইক সেল সোলার সেল নামেও পরিচিত।ফটোভোলটাইক সেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন