![]() |
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক |
রিসোর্স শেয়ার, সময় ও শ্রম বাঁচানো এবং সম্পদ ও অর্থের সঠিক ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে একাধিক নোড, ডিভাইস বা কম্পিউটার সংযোগ করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। শিক্ষা বা কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। নিচে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য দেয়া হলো-
- দলগতভাবে কাজ করা: নেটওয়ার্ক থাকায় ভার্চুয়াল জগতে টিমওয়ার্ক করার জন্য দুরত্ব যেন কোনো বাঁধাই না। বিশ্বের যেকোন স্থানে থেকে দলগতভাবে কাজ করা যাচ্ছে। এভাবেই সম্পাদিত হচ্ছে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট। এ কাজকে আরো বেগবান করেছে ভার্চুয়াল কম্পিউটিং ও ক্লাউড কম্পিউটিং। এক্ষেত্রে গিটহাব, ওয়ানড্রাইভ, গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখছে, যেখানে ফাইল শেয়ার করে দলের সবাই কাজের অগ্রগতি দেখতে পায়, নিজ নিজ অংশের কাজ করতে পারে এবং প্রয়োজনে ইডিট ও আপডেটও করা যায়।
- হার্ডওয়্যার শেয়ার: অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার শেয়ার করা কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। যেমন, অফিসের ১০টি কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদা ১০টি মূল্যবান প্রিন্টার/স্কেনার ব্যবহার না করে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত একটি প্রিন্টার/স্কেনার শেয়ার করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে উন্নত সফওয়্যার ইনস্টল করার জন্য দামী হার্ডওয়্যার সমৃদ্ধ কম্পিউটার এর প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের যেকোন একটি উন্নত কম্পিউটারে তা ইনস্টল করে শেয়ার করা যেতে পারে। উল্লেখ্য এখানে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয়ই শেয়ার হয়।
- সফটওয়্যার শেয়ার: অফিসের সকল কম্পিউটারে একই সফটওয়্যার আলাদা আলাদাভাবে ইনস্টল না করে একটি কম্পিউটারে ইনস্টল করে তা নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটারে শেয়ার করা যেতে পারে। এভাবে সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করে খরচ কমানো সম্ভব। উপরন্তু সফটওয়্যার যদি ডেটা নিয়ে কাজ করে, তাহলে সকল ডেটা একই কম্পিউটারে থাকবে এবং ডেটার আপডেট নিয়ে কোন কনফিউশন থাকবে না।
- ইনফরমেশন শেয়ার: লাইভ ইনফরমেশন শেয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন আবহাওয়া ইনফরমেশন আপডেট রাখা যায় কম্পিউটারে ও তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া যায়। আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখার সাথে লাইভ ইনফরমেশন শেয়ার করে দ্রুত কাস্টমার সার্ভিস দেয়া যায়, এতে যেমন সময় বাঁচে, তেমনি যাতায়াত ও কাগজ-কলমের খরচ কম হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন