রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার রেজিস্টিভ সেন্সর বা ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স ট্রান্সডিউসার হিসাবেও পরিচিত। এই ট্রান্সডিউসার প্রায়শই বিভিন্ন ভৌতিক রাশি যেমন চাপ, কম্পন, তাপমাত্রা, বল এবং স্থানচ্যুতি পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো প্রাথমিক বা মাধ্যমিক উভয় ট্রান্সডিউসার হিসেবেই কাজ করতে পারে। তবে সাধারণত এগুলি মাধ্যমিক ট্রান্সডিউসার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কারণ প্রাথমিক ট্রান্সডিউসারের আউটপুট রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসারের ইনপুট হিসাবে কাজ করে। ভোল্টেজ ফ্যাক্টস এর আজকের পোস্টে বিভিন্ন প্রকার রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার নিয়ে আলোচনা করা হবে।
রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার কি?
পরিবেশের কোন ভৌত রাশির পরিবর্তনের প্রভাবে যে ট্রান্সডিউসারের প্রতিরোধ ক্ষমতা (রেজিস্ট্যান্স) পরিবর্তিত হয় তা রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এখানে, এসি বা ডিসি পরিমাপের মতো ডিভাইসের সাহায্যে প্রতিরোধ (রেজিস্ট্যান্স) পরিবর্তন পরিমাপ করা যায়। এই ট্রান্সডিউসার ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হ'ল কম্পন, স্থানচ্যুতি, তাপমাত্রা ইত্যাদির মতো ভৌতিক রাশির পরিমাণ পরিমাপ করা।
এই ট্রান্সডিউসার ব্যবহার করে ভৌত পরিবর্তনকে প্রথমে পরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স এ রূপান্তর করা হয়। এরপর এই রেজিস্ট্যান্স যেকোনো মিটার ব্যবহার করে সহজেই পরিমাপ করা যায়। এক্ষেত্রে পরিবর্তন রেজিস্টরটিকে সাধারনত কোনো ব্রিজ সার্কিট বা ভোল্টেজ ডিভাইডার সার্কিটে প্রয়োগ করে পরিমাপ করা হয়।
প্রধান প্রধান রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসারের মধ্যে রয়েছে পোটেনশিওমিটার, রেজিস্টিভ পজিশন ট্রান্সডিউসার, রেজিস্টিভ প্রেসার ট্রান্সডিউসার, থার্মিস্টর, স্ট্রেন গেজ এবং এলডিআর।
রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসারের কাজের নীতি
চাপ, তাপমাত্রা, বল, স্থানচ্যুতি, কম্পন ইত্যাদির পরিমাপ করার জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ট্রান্সডিউসার। ট্রান্সডিউসারের কাজ বোঝার জন্য একটি পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বিবেচনা করা যাক, যার-রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসারের ব্যবহার
১। | কিছু কিছু সেমিকোন্ডাক্টর পদার্থ আছে যাদের উপর আলো পতিত হলে চার্জ ক্যারিয়ার বিচ্যুত হয় ও রেজিস্ট্রেশন হ্রাস পায় (যেমন, ক্যাডমিয়াম সালফাইড (CdS), ক্যাডমিয়াম সেলেনাইড (CdSe), লেড সালফাইড (PbS) ইত্যাদি)। যা ব্যবহার করে লাইট ডেপেন্ডন্ট রেজিস্টর (LDR) তৈরি যা ব্যবহার করে আলোর তীব্রতা বা আলোর উপস্থিতি অবলোকন করা যায়। |
২। | টানা বল প্রয়োগ করলেপরিবাহী তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল পরিবর্তনের পাশাপাশি এর রেজিস্টিভিটিও (আপেক্ষিক রোধ) পরিবর্তিত হয়। এই বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে এ স্ট্রেীন গেজ তৈরি। |
৩। | সকল পদার্থের রেজিস্টেন্স তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। এই বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে থার্মিস্টর তৈরি। তবে এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি সংবেদনশীল পদার্থ ব্যবহার করা হয়। |
রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসারের সুবিধা
রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসারের সুবিধাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।- এই ট্রান্সডিউসার দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয়।
- এগুলি বিভিন্ন আকার ও উচ্চ প্রতিরোধের পাওয়া যায়।
- এসি ও ডিসি উভয় ভোল্টেজের প্রতিরোধের পরিমাপ করার জন্য উপযুক্ত।
- এটি ব্যবহার করা খুব সহজ।
- এর বৈদ্যুতিক দক্ষতা অত্যন্ত উচ্চ এবং পর্যাপ্ত আউটপুট প্রদান করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন