প্রযুক্তিগত দক্ষতার ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন

ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স

যেকোনো ইলেকট্রিক্যাল মোটরের নেমপ্লেটে এর রেটেড ভোল্টেজ, ফ্রিকোয়েন্সি এবং ফুল লোড কারেন্ট এর কথা উল্লেখ থাকে। ইলেকট্রিক্যাল মোটর সবসময় রেটেড ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সিতে চালানো আবশ্যক; আর তখনই মোটরের ব্যবহারিক কারেন্টের মানের সাথে রেটেড ফুল লোড কারেন্টের তুলনা করে ওভারলোড হিসাব করা সম্ভব।

ওভারলোডের ফলে মোটর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে উত্তপ্ত হয়, যার ফলে মোটরের ইনসুলেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে মোটরের আয়ুষ্কাল হ্রাস পায়। তবে কিছু কিছু মোটর কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন না হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওভারলোডে চলতে পারবে। সেক্ষেত্রে মোটরের নেমপ্লেটে প্রয়োজনীয়/নির্দিষ্ট সার্ভিস ফ্যাক্টরের কথা উল্লেখ থাকে।

মোটরের ওভারলোড পরীক্ষণের জন্য প্রথমে রেটেড ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে মোটরের টার্মিনালে ভোল্টেজ টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রেটেড ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে ৫০ হার্জ। যদি ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সির মান সঠিক না থাকে তাহলে অনাকাঙ্খিত উত্তাপের কারণ বা ওভারলোড হিসাব করা সম্ভব হবে না।

ইলেকট্রিক মোটর ওভারলোডে চালানোর নিয়ম


এরপর মটর এর কারেন্ট নির্ণয় করতে হবে; এই কারেন্টকে মোটরের নেমপ্লেটে উল্লেখ্য ফুল লোড কারেন্ট দিয়ে ভাগ করলে যে মান পাওয়া যাবে তা হচ্ছে মোটরের লোড ফ্যাক্টর। উদাহরণ হিসেবে ধরি, মোটরের কারেন্ট যদি ২২ অ্যাম্পিয়ার হয় এবং রেটেড কারেন্ট ২০ অ্যাম্পিয়ার হয়, তাহলে লোড ফ্যাক্টর এর মান হল ২২/২০ = ১.১। এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি মোটরটি ১০% ওভারলোড। এই ওভারলোড ফ্যাক্টরের মান ১.০ বা তার চেয়ে কম হলে ভালো।

লোড ফ্যাক্টর পরীক্ষণের পর পরবর্তীতে যা দেখতে হয় তা হচ্ছে সার্ভিস ফ্যাক্টর। অনেক মোটরের নেমপ্লেটেই রেটেড সার্ভিস ফ্যাক্টরের মান উল্লেখ থাকে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মোটরের সার্ভিস ফ্যাক্টর ১.১৫ হয়ে থাকে। কোন মোটরের সার্ভিস ফ্যাক্টর ১.১৫ বলতে বোঝায় মোটামুটি ১৫% ওভারলোড করলে কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়া মোটরটি স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে। এক্ষেত্রে আমাদের উপরের আলোচনায় যে মোটরের লোড ফ্যাক্টর নির্ণয় করেছি সেই মোটরটি ওভারলোডে থাকলেও তা গ্রহণযোগ্য।

মোটরের নেমপ্লেটে পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা (ambient temperature) এবং ব্যবহৃত ইন্সুলেশন কোন ক্লাসের তা উল্লেখ থাকে। এ থেকে বোঝা যায় মোটরটি সর্বোচ্চচ কত তাপমাত্রায় পরিচালনা করা উচিত। পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা অনুকূলে থাকলে ইলেকট্রিক্যাল মোটর হতে সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা পাওয়া সম্ভব। এই পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রার একটি আদর্শ মান হচ্ছে 40 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। কোন পাওয়ার ইলেকট্রিক্যাল মটর যখন চলতে থাকে তখন এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই তাপমাত্রার সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মান ব্যবহৃত ইন্সুলেশনের ক্লাসের উপর নির্ভর করে। ইলেকট্রিক্যাল মোটরে সাধারণত ক্লাস-বি অথবা ক্লাস-এফ টাইপের ইন্সুলেশন ব্যবহার করা হয়। ক্লাস-বি ইন্সুলেশন মোটর ১৩০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার জন্য এবং ক্লাস-এফ মোটর ১৫৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে।

কোন ইলেকট্রিক্যাল মোটর যদি রেটেড পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রার নিচে পরিচালনা করা হয়, তাহলে এর ইনসুলেশন টেম্পারেচারও তুলনামূলক কম থাকে। ফলে মোটরটি সামান্য ওভারলোডে চালনা করলে কোন সমস্যা হয় না। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মোটরের তাপমাত্রা সীমিত থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Attention Please

Purpose of this blog
Learning and Sharing is the main purposeof this site. If you find anything helpful, please, share this blog to your friends to help them.

Our FB group AMIE Help Center
Our Another Site Voltage Facts