ইলেকট্রিক্যাল ক, খ, গ সনদ/লাইসেন্স ( যা Electrical ABC license নামেও পরিচিত) এর আদ্যপ্রান্ত নিয়ে আলোচনা করবো ভোল্টেজ ফ্যাক্টস এর আজকের পোস্টে। আশা করছি, নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর ব্যাখ্যা করলে কখগ লাইসেন্স সম্পর্কে আপনার আর তেমন কোন জিজ্ঞাসা থাকবে না।
১. | ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স কী? |
২. | ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স এর কত প্রকার? |
৩. | কে বা করা এই লাইসেন্স অর্জন করতে পারবে? |
৪. | ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স অর্জনের সুবিধা কী? |
৫. | ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স কীভাবে অর্জন করবেন? |
৬. | ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সাজেশন ও সিলেবাস? |
ABC electrical license |
১. ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স কী?
ক খ গ লাইসেন্স হল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনে বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত একটি লাইসেন্স যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শ্রেণীর ইলেকট্রিক্যাল কাজের অনুমতি প্রদান করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণীর কাজ সম্পর্কে নিচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
২. ইলেক্ট্রিক্যাল কখগ লাইসেন্স এর কত প্রকার?
বিদ্যুৎ বিভাগ ভোল্টেজ অনুযায়ী ঝুঁকির ভিত্তিতে এবিসি লাইসেন্সকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেছে। নিচে এই শ্রেণি উল্লেখ করা হলো।শ্রেণী | কাজের ধরণ (ভোল্টেজের উপর নির্ভর করে) |
গ | ২২০ ভোল্টের কাজের সনদ |
খ গ | ২২০-৪৪০ ভোল্টের কাজের সনদ |
ক খ গ | ৪৪০ ভোল্টের বেশি ভোল্টের কাজের সনদ |
ক খ গ লাইসেন্স আরেকটু পরিষ্কার করে বললে
গ শ্রেনিতে আছে বেসিক ইলেকট্রিক কাজ। যেমন- হাউজ ওয়্যারিং ও ২২০ ভোল্টেজের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কজ।
খ শ্রেনির সনদের সাথে গ শ্রেণীর সনদ একসাথে করতে হয়। এতে আছে বেসিক ইলেকট্রিক কাজ সহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোলের কাজ, যেমন- সাবস্টেশনের এলটি সাইড, মোটর কন্ট্রোল, পাওয়ার ফ্যাক্টর প্যানেল ইত্যাদিসহ ২২০-৪৪০ ভোল্টে চলে এমনসব যন্ত্রপাতির কাজ ও সেফটি উপকরণের কাজ।
ক শ্রেণীর সনদের সাথে খ ও গ শ্রেণীর সনদ একই সাথে প্রদান করা হয়। এই সনদ পেতে হলে বেসিক ইলেক্ট্রিক্যাল কাজসহ ওভারহেড লাইন ও সাব স্টেশনেই কাজ ( ট্রান্সফর্মার, ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্ট , বিভিন্ন প্রকার সার্কিট ব্রেকার, পি.এফ.আই. প্যানেল, সিটি, পিটি ইত্যাদি) জানতে হবে।
উপরের আলোকনার সারসংক্ষেপ হচ্ছে, একসাথে সবগুলো শ্রেণীতে আবেদন করা যাবে। তবে গ বাদ দিয়ে খ অথবা খ ও গ বাদ দিয়ে ক শ্রেণীর সনদ নেয়া সম্ভব না।
৩. কে বা করা এই লাইসেন্স অর্জন করতে পারবে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্স নিতে পারবে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্স নিবে তার উপড় ভিত্তি করে এ লাইসেন্সকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।লাইসেন্সের শ্রেণী | ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ধরণ |
---|---|
গ | ইলেক্ট্রিক্যাল ঠিকাদারি লাইসেন্স |
খ গ | |
ক খ গ | |
গ | ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স |
খ গ | |
ক খ গ | |
গ | ইলেকট্রিশিয়ানদের কারিগরি পারমিট |
খ গ | |
ক খ গ |
উপরে উল্লেখিত তিনটি লাইসেন্সই একটি আরেকটি হতে ভিন্ন। তাই লাইসেন্স নেয়ার জন্য যেমন আলাদা আলাদা কাগজপত্র দাখিল করতে হয় তেমনি শিক্ষাগত জোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ভিন্নচায়। তাই এ সম্পর্কে আরো তথ্য পাঠকদের সুবিধার্থে নিচে আলাদা আলাদা লিংকের মাধ্যমে দেয়া হলো।
৩. ইলেকট্রিশিয়ানদের কারিগরি পারমিট
আপনার চাহিদা অনুযায়ী কখগ লাইসেন্স সম্পর্কে আরো সংশ্লিষ্ট ↑ লিংকে ক্লিক করুন।
আপনার চাহিদা অনুযায়ী কখগ লাইসেন্স সম্পর্কে আরো সংশ্লিষ্ট ↑ লিংকে ক্লিক করুন।
অনেক অনেক দেয়া ও শুভকামনা রইল স্যার
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুন