আর্থ রেজিস্ট্যান্স বলতে শুধুমাত্র আর্থিং তারের রেজিস্ট্যান্সকে বোঝায় না। বরং এটি আর্থিং তারসহ মাটির রেজিস্ট্যান্স কে বোঝায় যার কারণে আর্থিং কারেন্ট ডিসচার্জ হতে বাধা পায়।
(ক) আর্থিং ইলেকট্রোডের দৈর্ঘ্য বা গভীরতা
আর্থিং ইলেকট্রোডের দৈর্ঘ্য বা গভীরতার উপর আর্থ রেজিস্ট্যান্স অনেক বেশি নির্ভরশীল। আর্থিং ইলেকট্রনকে ভূগর্ভস্থ পানির লেভেলের নিচে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সাধারনভাবে আর্থিং ইলেকট্রোডের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে রেজিস্ট্যান্স ৪০% পর্যন্ত হ্রাস পায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য বা গভীরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না (যেমন পাথুরে অঞ্চলে)।(খ) আর্থিং ইলেকট্রোডের প্রস্থচ্ছেদ
আর্থিং ইলেকট্রোডের ব্যাস বৃদ্ধি করেও আর্থ রেজিস্ট্যান্স হ্রাস করা যায়। তবে দৈঘ্যের ন্যায় ব্যাস বৃদ্ধিতে রেজিস্ট্যান্সের তেমন পরিবর্তন ঘটে না। সাধারনভাবে আর্থিং ইলেকট্রোডের ব্যাস দ্বিগুণ করলে রেজিস্ট্যান্স ১০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।(গ) আর্থ ইলেকট্রোডের সংখ্যা
আর্থ ইলেকট্রোডের সংখ্যাও বৃদ্ধি করে অর্থাৎ একাধিক আর্থ ইলেকট্রোড মেশ বা প্যারালাল করে আর্থ রেজিস্ট্যান্সের মান কমানো যায়। পাহাড়ী বা পাথুরে অঞ্চলে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে সুবিধাজনক হচ্ছে।(ঘ) আর্থ ইলেকট্রোডের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
আর্থ ইলেকট্রোডের পারিপার্শ্বিক অবস্থা যেমন- মাটির আদ্রতা, গভীরতা, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা, মাটির ধরন, মাটির উপাদান, মাটির লবনাক্ততা ইত্যাদির উপর আর্থ রেজিস্ট্যান্স নির্ভর করে। তাই একটি আর্থিং সিস্টেম ডিজাইনের ক্ষেত্রে এসকল বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা অতি জরুরী। আর্থিং কারেন্ট যাতে মাটিতে সহজে ডিসচার্জ হতে পারে এর জন্য নিম্নোক্ত পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন করা হয়।(১) মাটির আদ্রতা বাড়িয়ে আর্থ রেজিস্ট্যান্স হ্রাস
মাটির আদ্রতা বাড়লে আর্থ রেজিস্ট্যান্স হ্রাস পায়। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে পানি দেয়ার ব্যবস্থা থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন