কখগ ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার গ্রহণ করতে পারে। পূর্বের পোস্টে কখগ ইলেকট্রিক্যাল লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি। তাই এ পোস্টে শুধু ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স নিয়ে আলোকনা করবো।
পরীক্ষার ফিস: বিষয় ও শ্রেণি মোতাবেক নিম্নবর্ণিত হারে সরকারি ট্রেজারীতে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে অবশ্যই নির্ধারিত খাতে চালানের মাধ্যমে জমা করতে হবে। শ্রেণী অনুযায়ী পরীক্ষার ফিস ও লাইসেন্স নবায়ন ফিস নিচে ছকের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলো।
১. ইলেট্রিক্যাল হাউজ ওয়্যারিং (বিল্ডিং এর সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম, এনার্জি মিটার, মেইন সুইচ, সুইচবোড, সিলিং ফ্যান, টিউব লাইট, আইপিএস, ইউপিএস, পানির পাম্প ইত্যাদি )।
ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স এর সুবিধা
বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কাজ সুপারভাইজ করতে হলে ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স । তাই বিভিন্ন কম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে এই লাইসেন্স বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলক অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।কোথা হতে ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স দেয়া হয়
কখগ ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স অর্জনের জন্য একজন ইঞ্জিনিয়ারকে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয়। এ পরীক্ষা নেয়া হয় বৈদ্যুতিক উপদেষ্ঠা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের কার্যালয়ে। বছরে ২ বার (সাধারণ ডিসেম্বর ও জুন মাসে) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগ্রহী ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহবান করা হয়।
প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা
বিদ্যুৎ বিধিমালা ১৯৩৭-এর ৪৮(১) বিধির আওতায় প্রবিধান ১৮ ও ১৯ অনুযায়ী ডিগ্রী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণকে সুপারভাইজার সার্টিফিকেট মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য নিম্নবর্ণিত অভিজ্ঞতার সনদপত্র (*যাহা প্রযোজ্য) দাখিল করতে হবে।ক. | বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক) | ইলেকট্রক্যাল ইনষ্টলেশনের কাজে | ১ বছরের অভিজ্ঞতা |
খ. | বি.এসসি ইষ্রিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল, মেরিন ও নেভাল, আর্কিটেকচার এবং কম্পিউটার) | ,, | ৩ বছরের অভিজ্ঞতা |
গ. | বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল, মেটালারজি, কেমিক্যাল এবংএগ্রিকালচার) | ,, | ৫ বছরের অভিজ্ঞতা |
ঘ. | ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স) | ,, | ৩ বছরের অভিজ্ঞতা |
ঙ. | ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (পাওয়ার, রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং, অটোমোবাইল এবং কম্পিউটার) | ,, | ৫ বছরের অভিজ্ঞতা |
চ. | ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল এবং সিভিল) | ,, | ৭ বছরের অভিজ্ঞতা |
ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া
পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হয়। এ আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে বৈদ্যুতিক উপদেষ্ঠা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের ওয়েবসাইটে। আবেদনের পর এসএমএস এর মাধ্যমে পরীক্ষার সময় ও তারিখ বলে দেয়া হবে। উল্লেখ্য এই এসএমএস ই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে।
প্রতিদিনের পরীক্ষার ফলাফল প্রতিষ্টানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। নিচে ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স আবেদন ফর্মের সরাসরি ডাউনলোড লিংক ও বৈদ্যুতিক উপদেষ্ঠা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া হলো।
ওয়েবসাইট: https://eacei.portal.gov.bd/
ফর্ম ডাউনলোড লিংক: বৈদ্যুতিক কারিগরি পারমিট আবেদন ফর্ম
আবেদন প্রাপক: সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, ২৪ তোপখানা রোড, জ্যোৎসনা কমপ্লেক্স, ঢাকা-১০০০
প্রতিদিনের পরীক্ষার ফলাফল প্রতিষ্টানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। নিচে ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স আবেদন ফর্মের সরাসরি ডাউনলোড লিংক ও বৈদ্যুতিক উপদেষ্ঠা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া হলো।
ওয়েবসাইট: https://eacei.portal.gov.bd/
ফর্ম ডাউনলোড লিংক: বৈদ্যুতিক কারিগরি পারমিট আবেদন ফর্ম
আবেদন প্রাপক: সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, ২৪ তোপখানা রোড, জ্যোৎসনা কমপ্লেক্স, ঢাকা-১০০০
সেন্টার ফী ও পরীক্ষার ফী
সেন্টার ফিস: ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স পরীক্ষার প্রতি শ্রেণীর জন্য ২৫০/-(দুইশত পঞ্চাশ) টাকা হারে আবেদনকালীন সময়ে অত্র বোর্ডে নগদ প্রদান করতে হবে। আবেদন প্রদান করার সময় এ ফিস দেয়া যাবে এবং একটি রশিদ প্রদান করা হবে।পরীক্ষার ফিস: বিষয় ও শ্রেণি মোতাবেক নিম্নবর্ণিত হারে সরকারি ট্রেজারীতে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে অবশ্যই নির্ধারিত খাতে চালানের মাধ্যমে জমা করতে হবে। শ্রেণী অনুযায়ী পরীক্ষার ফিস ও লাইসেন্স নবায়ন ফিস নিচে ছকের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলো।
শ্রেণি | পরীক্ষার ফিস(টাকা) | পারমিট নবায়ন ফিস(টাকা) |
গ | ৬০০.০০ | ৩০০.০০ |
গ ও খ | ১৮০০.০০ | ৭২০.০০ |
গ, খ ও ক | ৩৬০০.০০ | ১৩২০.০০ |
নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র (*প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অবশ্যই আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করে বিদ্যুৎ বোর্ডের সচিব বরাবর প্রেরণ/দাখিল করতে হবে।
- চালানের মূল কপি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি।
- কোন স্বনামধন্য/খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার/বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী হিসাবে অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
- চারিত্রিক প্রশংসার সনদপত্র।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্ম নিবন্ধন পত্রের সত্যায়িত কপি।
- দরখাস্তকারীর স্থাক্ষর অথবা টিপ সহিযুক্ত এবং ম্যাজিষ্ট্রেট, প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌর কমিশনার কর্তৃক সত্যায়িত সদ্য গৃহীত ৪ (চার) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স পরীক্ষার সিলেবাস ও সাজেশন
নির্দিষ্ট ভোল্টেজ রেঞ্জ এর মধ্যে পড়ে এমন সব কাজই ঐ শ্রেণীর সিলেবাস। একটু সংক্ষিপ্ত আকারে সাজেশন ও সিলেবাস তুলে ধরলাম।
গ শ্রেণীর সিলেবাস ও সাজেশন
যেসকল যন্ত্রপাতি ২৫০ ভোল্টেজে চলে/কাজ করে এমন সব বিষয়ের হতে প্রশ্ন করা হয়। এক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।১. ইলেট্রিক্যাল হাউজ ওয়্যারিং (বিল্ডিং এর সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম, এনার্জি মিটার, মেইন সুইচ, সুইচবোড, সিলিং ফ্যান, টিউব লাইট, আইপিএস, ইউপিএস, পানির পাম্প ইত্যাদি )।
২. বিভিন্ন প্রকার ক্যবল, সার্কিট ব্রেকার, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড ও সব-ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড।
৩. মাল্টিমিটার/অ্যভোমিটার, মেগার, আর্থ টেস্টার ইত্যাদি
৪. ওয়্যারিং করার কাজে ব্যবহত হ্যান্ড টুলস ও সেফটি টুলস।
৫. সিরিজ, প্যারালাল সার্কিট, ফেজ, নিউট্রাল, আর্থিং।
খ(খগ) শ্রেণীর সিলেবাস ও সাজেশন
এই শ্রেণীর ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স পরীক্ষায় যেসকল যন্ত্রপাতি ২৫০-৬৫০ ভোল্টেজে চলে/কাজ করে এমন সব বিষয়ের হতে প্রশ্ন করা হয়। এক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।
১. ক্যবল, ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার, রিলে ও ম্যাগনেটিক কন্টাকটর।
২. সাব-ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, এলটি প্যানেল, পিএফ আই প্যানেল।
৩. সাব-স্টেশন (সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম, সুইচগিয়ার, ট্রান্সফরমার, সিটি, পিটি)।
৪. ইলেক্ট্রিক্যাল মোটর কন্ট্রোল (ভিএফডি, স্টার, স্টারডেল্টা, রিভাস ফরোওয়াড)।
৪. ইলেক্ট্রিক্যাল মোটর কন্ট্রোল (ভিএফডি, স্টার, স্টারডেল্টা, রিভাস ফরোওয়াড)।
৫. বিভিন্ন প্রকার মেজারিং টুলস, হ্যান্ড টুলস ও সেফটি টুলস।
ক(কখগ) শ্রেণীর সিলেবাস ও সাজেশন
এই শ্রেণীর বৈদ্যুতিক ইলেক্ট্রিক্যাল সুপারভাইজার লাইসেন্স ব্যাসিক ইলেক্ট্রিসিটি যেসকল যন্ত্রপাতি ৬৫০ ভোল্টেজের উপরে চলে/কাজ করে এমন সব বিষয়ের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।
১. ট্রান্সমিশন লাইন ও ডিস্টিবিউশন লাইন(কন্ডাকটর, ইনসুলেটর, ওয়্যার, ইত্যাদি)
২. জেনারেটর, ট্রন্সফারমার, সাব-স্টেশন (ইনপুট-আউপপুট কানেকশান, স্টার-ডেল্টা, পিএফআই প্যানেল, আর্থিং সিস্টেম, বুখরেজ রিলে, কনজারভেটর, ব্রিদার, সাব-স্টেশনের বিভিন্ন সেফটি ডিভাইস)
৩. বিভিন্ন ধরণের সুইচগিয়ার (ফিউজ, রিলে, পাওয়ার সার্কিট ব্রেকার, ম্যাগনেটিক কন্টাকটর, আইসোলেটর, সার্জ প্রটেক্টের, লাইটেনিং অ্যারেস্টর ইত্যাদি)।
৪. বাংলাদেশের পাওয়ার সিস্টেম।
৫. বিভিন্ন প্রকার মেজারিং টুলস, হ্যান্ড টুলস ও সেফটি টুলস।
নিচে ABC license সম্পর্কে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের সাথে একটি সাক্ষাৎকার ভিডিও দেয়া হলো
৪. বাংলাদেশের পাওয়ার সিস্টেম।
৫. বিভিন্ন প্রকার মেজারিং টুলস, হ্যান্ড টুলস ও সেফটি টুলস।
নিচে ABC license সম্পর্কে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের সাথে একটি সাক্ষাৎকার ভিডিও দেয়া হলো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন