প্রযুক্তিগত দক্ষতার ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন

ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স

ট্রান্সফরমারের দুটি প্রধান লস হচ্ছে (ক) কোর লস এবং (খ) কপার লস। এছাড়া দুটি তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ লস হচ্ছে (গ) স্ট্রে লস এবং (ঘ) ডাই-ইলেকট্রিক লস। নিচে এই লসসমূহ আলোচনা করা হলো।

(ক) কোরলস বা আয়রন লস

কোর লস ট্রান্সফরমারের ব্যবহৃত আয়রন কোরে ঘটে থাকে। এই জন্য এই লস আয়রন লস নামেও পরিচিত। কোনো ট্রান্সফরমারের কোর লস ভোল্টেজ এবং ফ্রিকুয়েন্সির উপর নির্ভরশীল একটি ফাংশন। তবে যে কোনো ট্রান্সফরমার সাধারণত নির্দিষ্ট ভোল্টেজ এবং ফ্রিকুয়েন্সির জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে বলে এই লস ট্রান্সফরমারের স্থায়ী বা অপরিবর্তনীয় লস হিসেবে পরিচিত। ট্রান্সফরমারের কোর লস আবার দুই ভাগে বিভক্ত-

ইডি কারেন্ট লস

ট্রানসফর্মের ব্যবহৃত ধাতব কোরে আবিষ্ট ফ্লাক্স একটি ভোল্টেজ উৎপন্ন করে। এই আবিষ্ট ভোল্টেজের দরুন কোরে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তা একটি রেজিস্টিভ লস ঘটায়। কোরের রেজিস্ট্যান্স ও কারেন্ট অপরিবর্তনীয় থাকায় এই লস ট্রান্সফরমারের একটি অপরিবর্তনীয় লস।

হিস্টেরেসিস লস

এসি কারেন্ট প্রবাহের ফলে কোরে উৎপন্ন পরিবর্তনশীল চৌম্বক ক্ষেত্র প্রবাহিত কারেন্টের ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী সার্বক্ষণিক দিক পরিবর্তন করতে থাকে। ফলে কোরের কণাগুলোর মধ্যে এক ধরনের ভাইব্রেশনের উপস্থিতি ঘটে এবং কণা গুলোর মধ্যে ঘর্ষণের কারণে শক্তির অপচয় হয় যা তাপ শক্তি হিসেবে প্রকাশ পায়। হিস্টেরেসিস লসও ভোল্টেজ এবং ফ্রিকুয়েন্সির উপর নির্ভরশীল একটি ফাংশন। তাই এই লসকেও ট্রান্সফরমারের একটি অপরিবর্তনীয় লস হিসেবে ধরা হয়।

হিস্টেরেসিস লস $P_h$ এবং এডি কারেন্ট লস $P_i$ হলে মোট কোর লস, $P_C_o = P_h + P_i$

(খ) কপার লস বা I2R লস

ট্রান্সফর্মার উইন্ডিংয়ের ওহমিক রোধের কারণে এই লস ঘটে। $I_1$ ও $I_2$ যদি প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কারেন্ট হয় এবং $R_1$ এবং $R_2$ যথাক্রমে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিংয়ের রোধ হয় তাহলে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিংয়ের লসগুলো যথাক্রমে $I_1^2R_1$ এবং $I_2^2R^2$ হবে। প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি তে রূপান্তরিত সমতুল্য মোট রেজিস্ট্যান্স $R_0_1$ বা $R_0_2$ হলে মোট কপার লস $P_C_u = I_1^2R_0_1$ $= I_2^2R_0_2$

(গ) স্ট্রে লস

ট্রান্সফর্মারে লিকেজ  ফ্লাক্স দ্বারা কয়েল ও কোর ব্যতীত অন্যান্য কন্ডাক্টর, ট্যাঙ্ক ইত্যাদির এডি কারেন্ট লস স্ট্রে লস হিসাবে পরিচিত। আয়রন এবং কপার  লসের তুলনায় এই লস খুব কম হওয়ায় সাধারণত এই লস অগ্রাহ্য করা হয়। তবে ট্রান্সফর্মার ডিজাইনের সময় এটি খেয়াল রাখা জরুরী।

ডাই-ইলেকট্রিক লস

ট্রান্সফরমারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডাইইলেকট্রিক পদার্থ যেমন ইনসুলেটিং অয়েল, কয়েলে ব্যবহৃত ইনসুলেটর ইত্যাদিতে দ্বারা উৎপন্ন লসগুলো হচ্ছে ডাই-ইলেকট্রিক লস। অন্যান্য লসের তুলনায় এই লসের মান খুবই কম হয়ে থাকে বলে সাধারণত অগ্রাহ্য করা হয়। ডাই-ইলেকট্রিক লসের ন্যায় ট্রান্সফর্মার ডিজাইনের সময় এই লস বিবেচনা করা উচিত।

২টি মন্তব্য:

Attention Please

Purpose of this blog
Learning and Sharing is the main purposeof this site. If you find anything helpful, please, share this blog to your friends to help them.

Our FB group AMIE Help Center
Our Another Site Voltage Facts