প্রযুক্তিগত দক্ষতার ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন

ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স

সিনক্রোনাস মোটরের রোটর কয়েলের ডিসি এক্সাইটেশন হ্রাস-বৃদ্ধি করে একে বিভিন্ন পাওয়ার ফ্যাক্টরে চালানো যায়। নরমাল এক্সাইটেশন প্রয়োগ করলে সিনক্রোনাস মোটর ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টরে চলে। এর বেশি এক্সাইটেশন প্রয়োগ করলে সিনক্রোনাস মোটর লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টরে এবং কম এক্সাইটেশন প্রয়োগ করলে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টরে চলে। তাই ওভার এক্সাইটেড সিনক্রোনাস মোটর সাপ্লাই পাওয়ার হতে লিডিং কারেন্ট নিয়ে থাকে বলে একে সিনক্রোনাস কনডেন্সার বলা হয়।


ধরুন, কোন ইন্ডাক্টিভ লোড পাওয়ারলাইন হতে Q1 পরিমাণ ল্যাগিং পাওয়ার শোষণ করছে। ফলে উক্ত লোডিং কারেন্ট ভোল্টেজের তুলনায় θ1 কোণ করে চলতে থাকবে অর্থাৎ ঐ লোডের পাওয়ার ফ্যাক্টর Cosθ1. এখন উক্ত পাওয়ার লাইনে যদি একটি ওভার এক্সাইটেড সিনক্রোনাস মোটর সংযুক্ত করা হয় যা Q পরিমাণ লিডিং পাওয়ার সরবরাহ করবে। ফলে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি হয়ে Cosθ2 হবে যা নিচের পাওয়ার ত্রিভুজে দেখানো হয়েছে।


পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করার লক্ষ্যে সিনক্রোনাস কনডেন্সার সাধারণত বিনা লোডে চালানো হয়। কনডেনসারের রোটরে কোন প্রকার যান্ত্রিক লোড না থাকলে এটি সর্বোচ্চ ইফিসিয়েন্সি প্রদান করে।

সিনক্রোনাস কনডেন্সার ব্যবহারের সুবিধা

১। ফিল্ড কয়েলের উত্তেজনা পরিবর্তিত করে, মোটর দ্বারা শোষিত কারেন্টের কোণ যেকোনো পরিমাণে পরিবর্তন করা যায়। ফলে সিনক্রোনাস কনডেনসার পাওয়ার ফ্যাক্টরে ধাপবিহীন অর্থাৎ মসৃণ নিয়ন্ত্রণ অর্জনে সহায়তা করে।

২। ত্রুটিযুক্ত শর্ট-সার্কিট কারেন্ট হতে ক্যাপাসিটিভ লোডের তুলনায় সিনক্রোনাস কনডেনসার অধিক সুরক্ষা প্রদান করে।

৩। শর্ট সার্কিট জনিত ত্রুটি সহজে শনাক্ত ও দূর করা যায়।

সিনক্রোনাস কনডেন্সার ব্যবহারের অসুবিধা

১। রক্ষণাবেক্ষণ জটিল ও ব্যয়বহুল;
২। এতে কিছু পাওয়ার লস হয়;
৩। হারমোনিক্স বা নয়েজ উৎপন্ন হয়;
৪। অপেক্ষাকৃত ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণত 500kva; এর নিচে ব্যবহার করা হয় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Attention Please

Purpose of this blog
Learning and Sharing is the main purposeof this site. If you find anything helpful, please, share this blog to your friends to help them.

Our FB group AMIE Help Center
Our Another Site Voltage Facts