ডিফারেনশিয়েটিং অ্যামপ্লিফায়ার বা ইনভার্টিং ডিফারেনশিয়েটর বহু বছর যাবত ইলেকট্রনিক সার্কিটে সিগন্যাল প্রসেসিং এর কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি মূলত একটি অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ার নিয়ে গঠিত যার ফিডব্যাক নেটওয়ার্কে নেগেটিভ ফিডব্যাক সরবরাহের জন্য একটি রেজিস্টার, R যুক্ত থাকে এবং ইনপুট পাশে একটি ক্যাপাসিটার ব্যবহার করা হয়। আশা করছি নিচের ব্যাখ্যা অনুযায়ী বিষয়টি সহজে অনুধাবন করা যাবে।
আদর্শ ডিফারেনশিয়েটিং অ্যামপ্লিফায়ার
এখানে ইনপুট কারেন্ট, Iin হচ্ছে ক্যাপাসিটরের চার্জিং কারেন্ট। আবার ক্যাপাসিটর এক্ষেত্রে আমরা জানি,
আবার ভার্চুয়াল গ্রাউন্ড A ফিডব্যাক নেটওয়ার্ক এবং আউটপুটের মধ্যে কার্শপের ভোল্টেজের সূত্র প্রয়োগ করে পাই,
এখন, যেহেতু স্বর্ণসূত্র অনুসারে অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ারের ইনপুটদ্বয় কোনো কারেন্ট গ্রহণ করে না, তাই A বিন্দুতে কার্শপের কারেন্টের সূত্র প্রয়োগ করে পাই,
যেহেতু এখানে RC ধ্রুবক, তাই আউটপুট ভোল্টেজ ইনপুটের ডিফারেনশিয়েটিং বা অন্তরীকরণ মানের সমানুপাতিক। তাই এই সার্কিটকে ডিফারেনশিয়েটিং অ্যামপ্লিফায়ার বা ডিফারেনশিয়েটিং অপারাশনাল অ্যামপ্লিফায়ার বলে।
ব্যবহারিক ডিফারেনশিয়েটিং অ্যামপ্লিফায়ার
উপরে উল্লেখ্য আদর্শ ডিফারেনশিয়েটিং অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করতে গেলে নিম্নোক্ত দুটি সমস্যা দেখা দেয়।
- ইনপুট এর সাথে ক্যাপাসিটর যুক্ত থাকায় এটি অপেক্ষাকৃত বেশি ফ্রিকোয়েন্সির সিগন্যালের জন্য নিম্ন রিয়েকট্যান্সের পথ তৈরী করে। ফলে অ্যামপ্লিফায়ারের গেইন অস্থিতিশীল হয়ে পরে এবং আউটপুটে নয়েজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- অভ্যন্তরীণ ফেজ পরিবর্তন এবং ফিডব্যাক এর মাধ্যমে অ্যামপ্লিফায়ারটি অসিলেশন মুডে চলে যায়। ফলে আউটপুটে ত্রুটি দেখা দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন