প্রযুক্তিগত দক্ষতার ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন

ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স

ম্যাগনেটিক কন্টাকটার একটি বিশেষ ধরনের সুইচ বা সুইচগিয়ার যাকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ম্যাগনেটিক কন্টাকটর সুইচিং এর কাজে একটি ডিভাইসকে অন/অফ করতে ব্যবহার হয়। যে সকল যন্ত্রপাতি দূর হতে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন পড়ে সেগুলোকে ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের মাধ্যমে (কন্ট্রোল ভোল্টেজ প্রয়োগ করে) দূর হতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

কাজের নীতির উপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে - ম্যাগনেটিক কন্টাকটার রিলের একটি উন্নত সংস্করণ।

রিলে ও ম্যাগনেটিক কন্টাকটার - এ দুটি ডিভাইস ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক নীতিতে কাজ করলেও উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। একটি রিলে তুলনামূলক অনেক কম ভোল্টেজ ও কারেন্ট রেটিংয়ে কাজ করে অন্যদিকে ম্যাগনেটিক কন্টাকটার অনেক বড় লোড নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশনে ম্যাগনেটিক কন্টাকটর অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুইচিং ডিভাইস হিসেবে প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।

ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের কাজের নীতি

ম্যাগনেটিক কন্টাকটর নিম্নোক্ত প্রধান অংশ রয়েছে।
  1. প্রধান কন্টাক্ট(ধাতব পাত)
    • চলনশীল কন্টাক্ট
    • অনড় কন্টাক্ট
  2. অক্সিলারি কন্টাক্ট
    • চলনশীল কন্টাক্ট
    • অনড় কন্টাক্ট
  3. পাওয়ার কয়েল
  4. অক্সিলারী কয়েল
  5. স্প্রিং মেকানিজম

ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের কয়েলে বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহের ফলে তড়িৎ-চুম্বকের মধ্যে চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় যা দুটি ধাতব পাত সংযুক্ত করে একটি সার্কিট বন্ধ(close) করে। অন্যদিকে কয়েলে বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ বন্ধ করলে তড়িৎ-চুম্বক এর চুম্বকত্ব হারায়, যার ফলে স্প্রিং এর ক্রিয়ার মাধ্যমে ধাতব পাত দুটির মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় অর্থাৎ লোডে শক্তি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ম্যাগনেটিক কন্টাকটরে প্রধানত দুই ধরনের কন্টাক্ট থাকে। (১) প্রধান কন্টাক্ট লোডেকে পাওয়ার সিস্টেমের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহৃত হয়। প্রধান কন্টাক্ট শত শত অ্যাম্পিয়ার বা তার বেশি কারেন্ট পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। (২) অক্সিলারী কন্টাক্ট দিয়ে তুলনামূলক অনেক কম কারেন্ট পাস হয়, যা মূলত প্রধান কন্টাক্টের অবস্থা বুঝাতে অথবা অটোমেশনের কাজে ব্যবহার হয়।

ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের টার্মিনাল ও সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতি

ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের প্রধান কন্টাক্ট ৩ পোলের সিঙ্গেল থ্রো ও অক্সিলারি কন্টাক্ট সিঙ্গেল পোলের ডাবল থ্রো টাইপ হয়। ফলে অক্সিলারি কন্টাক্টে NO ও NC- দুই ধরনের ইন-আউট টারমিনাল থাকে। এই NO ও NC -কে কাজে লাগিয়ে অটোমেশন করা হয়।

ম্যাগনেটিক কন্টাকটর
ম্যাগনেটিক কন্টাকটর

প্রধান কন্টাক্টে ৩টি লাইন দেয়ার জন্য L1, L2, L3 এবং লোড সংযোগ করার জন্য T1, T2, T3 টার্মিনাল থাকে। যখন A1, A2 টার্মিনালের মাধ্যমে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটের কয়েলকে এনার্জাইজ করা হয় তখন L1, L2, L3  টার্মিনাল গুলো স্লাইডিং কন্টাক্টের সাহায্যে যথাক্রমে T1, T2, T3 টার্মিনালের সাথে যুক্ত হয়। ফলে লোড পাওয়ার লাইনের সাথে যুক্ত হয়।

ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরে আর্থিং সংযোগের কোন টার্মিনাল থাকে না। লোড সিঙ্গেল ফেজ হলে L1, T1 এর সাথে যথাক্রমে ফেজ ও লোড সংযোগ করে সুইচিং করা হয়।

ম্যাগনেটিক কন্টাকটর ব্যবহারের সুবিধা

  1. দূরের যেকোন জায়গা থেকে কোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
  2. ম্যাগনেটিক কন্টাকটার ব্যবহার করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন করা সহজ
  3. যেকোনো টাইমারের সাথে সহজে ইন্টারফেস করা যায়
  4. সুইচিং এর ফলে উৎপন্ন আর্ক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে
  5. উচ্চ পাওয়ারের ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে অপারেটরকে অধিক সুরক্ষা প্রদান করে
  6. ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের চেয়ে ঝামেলা মুক্ত
  7. তুলনামূলক সাশ্রয়ী

ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের ব্যবহার

বড় বড় লোড নিয়ন্ত্রণে ম্যাগনেটিক কন্টাকটরের বিকল্প নাই। নিচে ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।
  1. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাকটর যেকোনো লোড নিয়ন্ত্রণে সুইচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়
  2. মোটর অন/অফ করতে ব্যবহার করা হয়
  3. মোটরের DOL স্টার্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়

২টি মন্তব্য:

Attention Please

Purpose of this blog
Learning and Sharing is the main purposeof this site. If you find anything helpful, please, share this blog to your friends to help them.

Our FB group AMIE Help Center
Our Another Site Voltage Facts