ইলেকট্রনিক অসিলেটর কি
ইলেকট্রনিক অসিলেটর (Electronic oscillator) এমন এক সার্কিট যা আকাঙ্ক্ষিত ফ্রিকোয়েন্সির বা পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনশীল ইলেকট্রনিক সিগন্যাল তৈরি করে। অসিলেটর ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) হতে শক্তি সরবরাহ করে পরিবর্তনশীল কারেন্ট (এসি) সিগন্যালে রূপান্তর করে। সাধারণ ঘড়ি হতে শুরু করে জটিল কম্পিউটারে, রেডিও, টেলিভিশন ও ওয়ারলেস কমিউনিকেশনে বিভিন্ন প্রকার অসিলেটর ব্যবহার হয়ে থাকে।
অসিলেটর এর প্রকারভেদ
সিগনালের স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে ইলেকট্রনিক্স অসিলেটরকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১। ড্যাম্পড্ অসিলেটর
কোন ট্যাংক (RC বা LC) সার্কিটে ভোল্টেজ প্রয়োগ করলে এতে এক ধরনের অসিলেশন শুরু হয়। সার্কিট রেজিস্টেন্স ও লিকেজ ম্যাগনেটিক রিয়্যাকট্যান্স এর জন্য এ অসিলেশন স্থায়ী হতে পারে না। অর্থাৎ উৎপন্ন সিগন্যালের এমপ্লিচিউড ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে এবং একসময় কোন সিগন্যাল এর অস্তিত্ব থাকে না। তাই এই ধরনের অসিলেশনকে ড্যাম্পড্ অসিলেশন এবং এ ধরনের সার্কিটকে ড্যাম্পড্ অসিলেটর বলে।
আনড্যাম্পড্ অসিলেটর
ড্যাম্পড্ অসিলেটর সার্কিটের দুর্বলতা হ্রাস করার জন্য এতে প্রয়োজনীয় পজিটিভ ফিডব্যাক দেয়া হয়। ফলে সার্কিটে শক্তি সরবরাহ করা হলে এটি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আকাঙ্ক্ষিত ফ্রিকোয়েন্সি সিগনাল উৎপন্ন করতে থাকে। পজিটিভ ফিডব্যাক করানোর জন্য এতে একটি একটিভ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এজন্য এই অসিলেটরকে এক্টিভ অসিলেটরও বলা হয়।
একটা ফেলিবে হিসেবে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ট্রানজিস্টর, কিছু স্পেশাল ডায়োড, ভ্যাকুয়াম টিউব, চৌম্বক টিউব
গন ডায়োড
আইএমপ্যাট ডায়োড
গাইরোট্রন টিউব
কয়েকটি জনপ্রিয় আনড্যাম্পড্ অঅসিলেটরের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো
১। ফেজ শিফট অসিলেটর
২। কলিপ্টস অসিলেটর
৩। হার্টলি অসিলেটর
৪। ফেজ-শিফ্ট অসিলেটর
৫। ওয়েন ব্রিজ অসিলেটর
৬। অপ্টো-ইলেকট্রিক অসিলেটর
৭। ক্লেপ অসিলেটর
৯। পিয়ার্স অসিলেটর
১০। ট্রাই-টেট অসিলেটর
১১। রবিনসন অসিলেটর
১২। Vackář অসিলেটর
১৩। আর্মস্ট্রং অসিলেটর, a.k.a. মেসনার অসিলেটর
১৪। ডায়ানট্রন অসিলেটর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন